ওয়েব ডেস্ক; ১৫ আগস্ট: দেশের ভাগ্য পরিবর্তনে চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত নার্স ও চিকিৎসকদের ভূমিকার বিশেষ প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, মানব-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ছাড়া বিশ্বের উন্নয়ন ও অগ্রগতি যে সম্ভব নয়, কোভিড পরিস্থিতি থেকে আমরা সেই শিক্ষাই লাভ করেছি।
আজ দেশের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মুহূর্তটি প্রত্যক্ষ করার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৫০ জন নার্স অর্থাৎ, সেবা-কর্মীকে তাঁদের পরিবার-পরিজন সহ উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। তাঁরা সকলেই আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি রূপে লালকেল্লার অনুষ্ঠানে তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট আসন অলঙ্কৃত করেন। সেবা-কর্মীরা ছাড়াও দেশের পঞ্চায়েত প্রধান, শিক্ষাজীবী, কৃষিজীবী এবং মৎস্যজীবীরাও ছিলেন আমন্ত্রিতদের তালিকায়।
দেশের সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও উন্নত করে তোলার লক্ষ্যে সরকার ৭০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ‘আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচি’ রূপায়িত করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর আওতায় দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলি বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুযোগ লাভ করছেন।
আজ লালকেল্লার প্রাকার থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে প্রদত্ত স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশা-কর্মী সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের দৃষ্টান্তমূলক অবদানের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের বিশেষ প্রশংসা করে তিনি বলেন যে তাঁরা সকলেই মিলিতভাবে ২০০ কোটি কোভিড প্রতিষেধকদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কোভিড পরিস্থিতির পর ভারত যে বিশ্ববাসীর বিশেষ বন্ধু হয়ে উঠেছে, একথাও গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ অর্থাৎ, ‘এক অভিন্ন বিশ্ব, অভিন্ন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তথা এক অভিন্ন ভবিষ্যৎ’-এর কথাও উঠে আসে। তিনি বলেন, দেশের মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য জন ঔষধি কেন্দ্রগুলি এক বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। ফলে, নাগরিকদের ওষুধ সংগ্রহের ক্ষেত্রে ২০ হাজার কোটি টাকার মতো সাশ্রয় ঘটছে। আগামীদিনে জন ঔষধি কেন্দ্রের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজারে উন্নীত হবে বলেও তাঁর লক্ষ্যমাত্রার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।