ওয়েব ডেস্ক; ২৩ জুলাই: ২০ জুলাই ১৪তম দুষণমুক্ত শক্তি সংক্রান্ত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক এবং অষ্টম মিশন উদ্ভাবন বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে দূষণহীন শক্তির রূপান্তরের বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।
আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎশক্তির গুরুত্ব, সীমান্ত এলাকা জুড়ে দূষণমুক্ত শক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। শক্তির রূপান্তরের মাধ্যমে দূষণহীন শক্তির দ্রুত উন্নয়ন এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্য অর্জনে পারস্পরিক সংযুক্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিল্পক্ষেত্রে কার্বন দূষণ কমাতে বৈদ্যুতিকরণকে মূল ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
বিভিন্ন ধরনের শক্তির উৎসের আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থা এবং শক্তির ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। সুসংহত শক্তি ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য ডিজিটাল ব্যবস্থা, অতি উচ্চ ভোল্টেজের প্রযুক্তি এবং সাইবার নিরাপত্তাকে আবশ্যিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে, নানাবিধ উপায়ে বিদ্যুতের সঞ্চয় বাড়িয়ে উৎপাদনের খরচ কীভাবে কমানো যায়, তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সভাপতিত্বে সিওপি-২৮ এবং ইউএনইপি-পরিচালিত কুল কোয়ালিশন-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই বৈঠকে শক্তি রূপান্তর নিয়ে সরকারি, বেসরকারি এবং বিভিন্ন মানবতাবাদী সংগঠনের মধ্যে শক্তির রূপান্তর নিয়ে আলোচনা হয়। বিশ্বকে শীতল রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বৈঠকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির কাছে আবেদন জানানো হয়। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ভারত, ফ্রান্স ও নরওয়ের পক্ষ থেকে ভারতের ‘কুলিং অ্যাকশন প্ল্যান’-এর দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়।
বিশ্বজুড়ে ১০০ শতাংশ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার যাতে সহজলভ্য করা যায়, বৈঠকে তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, ব্যবস্থার নমনীয়তা এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির লক্ষ্যে কাজ করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এই মিশনের সাফল্যের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, তথ্য বিনিময় এবং তহবিল ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি বলে বৈঠকে মত প্রকাশ করা হয়।
বিদ্যুৎশক্তির সরবরাহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় যন্ত্রপাতির সর্বোত্তম ব্যবহারের ওপর জোর দেন ভারত সরকারের ব্যুরো অফ এনার্জি এফিশিয়েন্সি-র মহানির্দেশক। ২০৪০ সালের মধ্যে যন্ত্রাংশের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে ভারতে আটগুণ বেশি অগ্রগতি সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতের সঙ্কটের কথা ভেবে সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি সবার কাছে আবেদন জানান।
গোয়ার ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক প্রযুক্তি প্রদর্শনী পড়ুয়াদের মধ্যে বিশেষ উৎসাহ তৈরি করেছে। প্রদর্শনীতে বৈদ্যুতিক যান, চার্জিং পরিকাঠামো এবং দূষণমুক্ত প্রযুক্তির স্টার্ট-আপ তুলে ধরা হয়েছে।