ওয়েব ডেস্ক; ১৫ জুলাই: মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের, বিশেষত নাবালিকা ও যুবতীদের জন্য সুরক্ষা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণে সরকার সীমান্ত এলাকায় রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কেন্দ্রগুলিতে তাদের আশ্রয়দান, খাদ্য, বস্ত্র, পরামর্শ দান, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুবিধা এবং অন্যান্য প্রাত্যহিক প্রয়োজনীয়তা মেটানোর সংস্থান থাকবে।
নির্যাতিতাদের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির (সিডাব্লুসি) সামনে পেশ করা হবে। মিশন বাৎসল্য প্রকল্পের নির্দেশিকা অনুসারে তারা যোগ্য বিবেচিত হলে তাদের স্পনশরশিপ প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অনুরোধ জানানো হবে।
দেশের প্রতিটি জেলায় মানব পাচার প্রতিরোধ ইউনিট (এএইচটিইউ) স্থাপন এবং যেসব জায়গায় এই ইউনিট রয়েছে, সেগুলিকে শক্তিশালী করে তুলতে সরকার নির্ভয়া তহবিলের আওতায় সব রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে অর্থ প্রদান করেছে। এছাড়া এই ইউনিট স্থাপনের জন্য বিএসএফ ও এসএসবি-র মত সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও অর্থ দেওয়া হয়েছে। এপর্যন্ত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩০টি সহ মোট ৭৮৮টি মানব পাচার প্রতিরোধ ইউনিট সক্রিয় ভাবে কাজ করছে।
মানব পাচারের ক্ষেত্রে ভারত একই সঙ্গে উৎসস্থল এবং গন্তব্য দেশ। উন্নততর জীবনযাত্রা এবং চাকরির লোভ দেখিয়ে নেপাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে মহিলা ও কিশোরীদের ভারতে পাচার করা হয়। এদের অধিকাংশই নাবালিকা। ভারতে আসার পর এদের বিক্রি করে দেওয়া হয় এবং জোর করে পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করা হয়।
এইসব মেয়েরা প্রায়শই মুম্বাই, দিল্লি, হায়দ্রাবাদের মত বড় শহরগুলিতে পৌঁছোয়। সেখান থেকে তাদের দেশের বাইরে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নানা দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেজন্যই এইসব দেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিকে আরও সজাগ থাকতে হবে এবং এই অসহায় মেয়েদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন পরিষেবা দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করে রাখতে হবে।
জুভেনাইল জাস্টিস আইন ২০১৫-র (২০২১ সালে সংশোধিত) ৫১ নম্বর ধারা অনুযায়ী –
(১) বোর্ড বা কমিটি যথাযথ খোঁজ-খবর নেওয়ার পর আইনের দ্বারা নথিভুক্ত কোন সরকারি বা স্বেচ্ছাসেবী বা বেসরকারি সংস্থাকে অস্থায়ী ভাবে কোন শিশুর দায়িত্ব নেওয়ার অনুমোদন দিতে পারে এবং (২) বোর্ড বা কমিটি সেই অনুমোদন উপধারা ১-এর আওতায় লিখিত কারণ দেখিয়ে প্রত্যাহারও করে নিতে পারে।
সূত্র: পি আই বি