ওয়েব ডেস্ক; ৮ জুলাই: এবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলি অনলাইনে নির্বাচন কমিশনে তাদের হিসাব জমা দিতে পারবে। এই (https://iems(dot)eci(dot)gov(dot)in/) নতুন ওয়েব-পোর্টালটি চালু করা হয়েছে অনুদান রিপোর্ট, অডিট করা বার্ষিক হিসাব এবং নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত বিবৃতি জমা দেওয়ার সুবিধার জন্য। জন প্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১ এবং গত কয়েক বছরে সময়ে সময়ে কমিশন প্রকাশিত স্বচ্ছতা সংক্রান্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী এই আর্থিক বিবৃতি নির্বাচন কমিশন / রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে জমা দিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে।
সব রাজনৈতিক দলকে চিঠিতে ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই সুবিধা তৈরি করা হয়েছে দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে : প্রথমত, রাজনৈতিক দলগুলির সরাসরি রিপোর্ট ফাইল করার অসুবিধা দূর করতে এবং দ্বিতীয়ত, নির্ধারিত ফর্মাটে যাতে সময় মতো আর্থিক বিবৃতি জমা দেওয়া নিশ্চিত হয়। অনলাইনে তথ্য পাওয়া গেলে আশা করা যায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে। চিঠিতে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলির গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের উল্লেখ করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, গণতান্ত্রিক কার্যকলাপের রীতিনীতি মেনে চলা, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা বিশেষ করে আর্থিক বিষয়কে প্রকাশ্যে আনা রাজনৈতিক দলগুলির কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।।
অনলাইন পোর্টালে মেসেজের মাধ্যমে নিবন্ধিকৃত মোবাইল নম্বরে এবং রাজনৈতিক দলগুলির স্বীকৃত প্রতিনিধিদের নিবন্ধিকৃত ই-মেলে রিমাইন্ডার পাঠানোর ব্যবস্থা আছে, যাতে জমা দেওয়ার শেষ তারিখটি গোচরে আনা যায়। গ্রাফিক্স সহ একটি সার্বিক নির্দেশিকা এবং প্রশ্নোত্তরের ধাঁচে জিজ্ঞাস্য সব বিষয় রাজনৈতিক দলগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে অনলাইন মডিউল এবং অনলাইনে রিপোর্ট ফাইল করার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া আছে। অনলাইন ফাইলিং সম্পর্কে আরও জানাতে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির দ্বারা মনোনীত নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ারও ব্যবস্থা করবে।
যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি অনলাইন মোডে আর্থিক হিসাব জমা দিতে ইচ্ছুক নয়, তাদের লিখিতভাবে কমিশনকে অনলাইনে জমা না দেওয়ার কারণ জানাতে হবে। তারা রিপোর্টের হার্ড কপি সিডি/পেনড্রাইভ সহ নির্ধারিত ফরম্যাটে জমা দিতে পারবে। কমিশনের তরফে অনলাইনে এইসব রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে এবং কী কারণে কোনো দল অনলাইনে আর্থিক বিবৃতি ফাইল করতে পারেনি সেই কারণ জানিয়ে লেখা চিঠিটিও প্রকাশ করা হবে।