ওয়েব ডেস্ক; ২৮ জুন: দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উৎপাদিত জোহা প্রজাতির চাল রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে ডায়াবেটিস বা মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই চাল একদিকে পুষ্টি সাধন এবং অন্যদিকে রোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উপযোগী। শীতের মরশুমে উৎপাদিত জোহা প্রজাতির ধান থেকে তৈরি এই সুগন্ধী চালটি ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে কতটা কার্যকর সেসম্পর্কে বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান আইএএসএসটি এই চালটি সম্পর্কে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে এর মধ্যে এক ধরণের পুষ্টিগুণের সন্ধান পেয়েছে যা মধুমেহ এবং হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট কার্যকর। রাজলক্ষী দেবী এবং পারমিতা চৌধুরী উভয়েই তাঁদের গবেষণার মাধ্যমে এই সুগন্ধী চালের মধ্যে বিশেষ পুষ্টির উপাদান খুঁজে পেয়েছেন।
গবেষণাগারে পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাঁরা এই চালের মধ্যে দুটি অতি প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিডেরও সন্ধান পেয়েছেন। এই দুটি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড মানুষের শরীরে নিজের থেকে তৈরি হতে পারে না। অথচ মানব শরীরকে সচল রাখতে এই দুটি ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। এমনকি ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণেও এটি ভালো ফল দিতে পারে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় গবেষকরা আরও জানতে পেরেছেন, জোহা চালটির মধ্যে ওমেগা-৬ থেকে ওমাগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি সুষম অনুপাত রয়েছে যা অন্য কোনোধরণের চালের মধ্যে এযাবৎকাল পাওয়া যায় নি। জোহা চাল থেকে রাইসব্র্যান অয়েলও তৈরি সম্ভব হয়েছে। মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে এই তেলটিরও উপযোগিতা প্রমাণিত হয়েছে।
জোহা চালটি আবার কয়েকধরণের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফ্ল্যাভনয়েড এবং ফেনোলিক্স সমৃদ্ধও বটে।