বয়ঃসন্ধি ও তরুণদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিষয়ক জি-২০ অনুষ্ঠান

ওয়েব ডেস্ক; ১৯ জুন: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জেনেভার পার্টনারশিপ মেটার্নাল নিউ বর্ন চাইল্ড হেলথ (পিএমএনসিএইচ) – এর সহযোগিতায় ২০ জুন, নতুন দিল্লিতে ‘হেলথ অফ ইউথ – ওয়েলথ অফ নেশন’ শীর্ষক জি-২০ এক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের লক্ষ্য সারা বিশ্বে ১.৮ বিলিয়ন বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়ে এবং তরুণ-তরুণীদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার বিষয়গুলিকে তুলে ধরা। এছাড়াও, বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়ে এবং যুবসম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রতি নজর বাড়ানো এবং জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির বিনিয়োগ বৃদ্ধিও এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ মনসুখ মান্ডভিয়া এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন এবং মূল ভাষণটি দেবেন। শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোগ মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান; তথ্য ও সম্প্রচার এবং ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এস পি সিং বাঘেল, ডাঃ ভারতী প্রবীণ পাওয়ারও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। যুবসমাজের সমস্যাগুলির মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে ব্যাপারেও আলোকপাত করবেন তাঁরা। এছাড়া, সরকারি প্রয়াস এবং ভবিষ্যৎ কর্তব্য বিষয়েও আলোচনায় অংশ নেবেন তাঁরা। দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডঃ ম্যাট হিউম যোসেফ ‘জো পাহোলা’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন। ভিন্ন দৃষ্টিকোণ এবং দর্শকদের মধ্যে উপস্থিত বিশেষজ্ঞদের মতামতও তুলে ধরা হবে।

বিশ্বে ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ১.৮ বিলিয়ন। ভারতেই সবচেয়ে বেশি যুবসম্প্রদায়ের বসবাস। এই যুবসমাজ যে কোনও দেশের পক্ষেই একটি সম্পদ। অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে যুবসম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা ক্ষেত্রে লগ্নি একটি বড় ভূমিকা নিতে পারে। যুবসম্প্রদায়ের সংখ্যাধিক্যের সুবিধার স্বীকৃতি দিয়ে জি-২০’র এই আলোচনাচক্রে বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়ে এবং তরুণ-তরুণীদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা ক্ষেত্রে লগ্নির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হবে।

যুবসম্প্রদায়ের শক্তির উপর আস্থা রেখে এবং সকলের জন্য শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতার ভাবনা তুলে ধরে এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নে যুবসমাজের সম্ভাবনা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা ও দায়বদ্ধতাকে।

জি-২০’র কো-ব্র্যান্ডেড অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্দেশ্য হ’ল – সমাজে বদল ঘটাতে যুবসমাজের ক্ষমতায়ন। সেই সঙ্গে, নীতি প্রণেতা, সরকারি আধিকারিক, বিশেষজ্ঞ, অংশীদারি সংস্থা এবং জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির যুবদের আদর্শের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া। অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিদের মধ্যে মোটামুটি এক-তৃতীয়াংশই ভারতের বিভিন্ন এলাকার এবং জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির তরুণ-তরুণীরা। তাঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে তাঁদের ধ্যান-ধারণার খোঁজ পাওয়া যাবে এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা রচনা করতে তাঁদের মতামতও পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে দুটি কারিগরি অধিবেশনও থাকবে, যেখানে আলোকপাত করা হবে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা ছাড়াও যুবসমাজের বহুমুখী সংযোগের উপর। এছাড়াও, নীতি প্রণয়নে তরুণ সমাজকে উৎসাহ দেওয়া নিয়েও আলোচনা হবে। জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বয়ঃসন্ধিকালের এবং তরুণ-তরুণীদের বিষয়ে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, অভিনব নীতি ও কর্মসূচি আদান-প্রদান হবে।

অনুষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হ’ল – জি-২০ শেরপা অমিতাভ কান্ত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ, পিএমএনসিএইচ বোর্ডের চেয়ারপার্সন হেলেন ক্লার্ক এবং ইউএনএফপিএ – এর সদর দপ্তরের অধিকর্তা ডঃ জুলিটা অ্যানাব্যাঞ্জ সহ জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিশেষ আলোচনাসভা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.