এনসিপিসিআর-এর উদ্যোগে “নেশামুক্ত অমৃতকাল অভিযান”-এর সূচনা

ওয়েব ডেস্ক; ৮ জুন: গত ৩১ মে বিশ্ব তামাক বর্জন দিবসে শিশুদের অধিকার রক্ষা সম্পর্কিত জাতীয় কমিশন এনসিপিসিআর-এর উদ্যোগে সাফল্যের সঙ্গে সূচনা হল ‘নেশামুক্ত অমৃতকাল’ অভিযানের। এর লক্ষ্য হল নেশামুক্ত এক সুস্থ ভারত গড়ে তোলা। এ জন্য তামাক এবং ড্রাগ মুক্ত এক জাতি গঠনের অঙ্গীকার যুক্ত রয়েছে এই অভিযানের সঙ্গে। নাগরিকদের এক বিশেষ ফোরাম ‘টোব্যাকো ফ্রি ইন্ডিয়া’র প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় এই অভিযানের আয়োজন করেছে এনসিপিসিআর। সংস্থার চেয়ারপার্সন শ্রী প্রিয়াঙ্ক কানুনগো এবং অভিযানে অংশগ্রহণকারী অন্যান্যরা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে তামাকের ব্যবহার প্রদর্শনের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারী পদক্ষেপের বিশেষ প্রশংসা করেন। তামাকজাত পদার্থ এবং ড্রাগের নেশার মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টির দিকে আলোকপাত করে কানুনগো বলেন, দেশের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে তামাক ব্যবহারের প্রবণতার পিছনে বিনোদন জগতের যে এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায়না। এই কারণে ওটিটি মঞ্চে এই ধরণের নেশা দ্রব্যের প্রদর্শন নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত জরুরি। সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত পদার্থের বিক্রয় ও ব্যবহার সম্পর্কিত সিওটিপিএ আইনটি যে শিশু ও কিশোরদের মধ্যে তামাক ব্যবহারের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে সম্পর্কে তার আশার কথাও ব্যক্ত করেন তিনি।

বিজ্ঞান ভারতীর জাতীয় সচিব প্রবীণ রামদাস তাঁর ভাষণে নেশার বিরুদ্ধে শিক্ষামূলক প্রচার ও অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকার ওপর বিশেষ জোর দেন। তিনি বলেন, তামাক সহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে প্রচলিত আইনটির মধ্যে যে ফাঁক-ফোকর রয়েছে তা দূর করাই শুধুমাত্র জরুরি নয়, একইসঙ্গে প্রয়োজন ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার ওপর সার্বিকভাবে জোর দেওয়া।

এইমস দিল্লির ডঃ উমা কুমার তামাক সহ অন্যান্য নেশা দ্রব্যের প্রতি আসক্তির সঙ্গে স্বাস্থ্যের ঝুঁকির বিষয়টি সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, বিশ্ব তামাক বর্জন দিবসে এ বছরের বিষয় হল ‘আমাদের প্রয়োজন খাদ্য, তামাক নয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.