ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী ৭টি ধর্মীয় স্থানকে সংযুক্ত করার জন্য নদী পথে ধর্মীয় স্থল পর্যটন সার্কিটের জন্য সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর

ওয়েব ডেস্ক; ২০ মে: নদী পথে ধর্মীয় স্থল পর্যটন সার্কিটের জন্য একটি সমঝোতাপত্র গুয়াহাটিতে স্বাক্ষরিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ জলপথ কর্তৃপক্ষ, সাগরমালা উন্নয়ন নিগম লিমিটেড, আসাম পর্যটন উন্নয়ন কর্পোরেশন এবং আসাম সরকারের অভ্যন্তরীণ জলপথ পরিবহণের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরের সময় কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ চলাচল এবং জলপথ ও আয়ুষ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মা উপস্থিত ছিলেন।

কামাক্ষ্যা, পান্ডুনাথ, অশ্বক্লান্ত, দৌল গোবিন্দ, উমাকান্ত, চক্রেশ্বর এবং আউনিতি সত্র – এই ৭টি ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থানের মধ্যে ফেরি চলাচলের জন্য এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হ’ল। প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ৪৫ কোটি টাকা। আগামী ১২ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সাগরমালা উন্নয়ন নিগম লিমিটেড এবং অভ্যন্তরীণ জলপথ কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের ৫৫ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করবে। বাকি অর্থের যোগান দেবে আসাম পর্যটন উন্নয়ন কর্পোরেশন। গুয়াহাটির উজান বাজারের হনুমান ঘাট থেকে প্রস্তাবিত ফেরি সার্ভিসের যাত্রা শুরু হবে। আসাম সরকারের অভ্যন্তরীণ জলপথ পরিবহণ দপ্তর মন্দিরগুলির নিকটবর্তী ঘাট বিনামূল্যে ব্যবহারের সম্মতি দিয়েছে। এই ফেরি পরিষেবা শুরু হলে তীর্থ যাত্রীদের ২ ঘন্টা সময় বাঁচবে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোনোয়াল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজে সরকারের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি প্রতিফলিত হচ্ছে। বিশ্বের দীর্ঘতম নৌ-বিহার গঙ্গাবিলাস সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল সহ আসামের অভ্যন্তরীণ জলপথের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিশ্বশর্মা বলেছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ধর্মীয় পর্যটনের প্রসার ঘটবে। পর্যটকরা গুয়াহাটির সমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য উপভোগ করতে পারবেন। সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আসামের পর্যটন মন্ত্রী শ্রী পরিমল শুল্কবৈদ্য, আসাম পর্যটন উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শ্রী সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় সহ কেন্দ্র ও আসাম সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.