ওয়েব ডেস্ক; ২৬ এপ্রিল: “আমার প্রিয় দেশবাসী, আজাদি কা অমৃত মহোৎসব এখন দেশে জনঅংশীদারিত্বের এক নতুন উদাহরণ হয়ে উঠছে। কয়েকদিন আগে ২৩ মার্চ শহীদ দিবসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। দেশবাসীর স্বাধীনতার সময়ের নায়ক-নায়িকাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। ঐ একই দিনে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল – এ বিপ্লবী ভারত গ্যালারি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করার সুযোগ হয়েছিল আমার। এটি এক বিশেষ গ্যালারি, যেখানে ভারতের সাহসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। আপনারা যদি সুযোগ পান, অবশ্যই এটি ঘুরে দেখবেন”।
“বিপ্লবী ভারত গ্যালারি বছরের পর বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের যে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে, তা লালন-পালন করার বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার পরিচায়ক। পুরনো কারেন্সি বিল্ডিং, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বা বেলভেডিয়ার হাউসের মতো প্রাচীন বাড়িগুলিতে গ্যালারি তৈরির ও সৌন্দর্যায়নের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের সরকার বিশ্বের প্রাচীনতম সংগ্রহশালাগুলির মধ্যে অন্যতম। কলকাতার ভারতীয় সংগ্রহালয়টিকে বিশ্বের সামনে নতুনভাবে তুলে ধরার কাজে মানোনিবেশ করেছে”। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল – এ ২২ মার্চ, ২০২২ সালে শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে বিপ্লবী ভারত গ্যালারির উদ্বোধন করে এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন কি বাত – এও বিশেষভাবে এর উল্লেখ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্ভীক সুভাষ’ – এর পর কলকাতার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যে নতুন মাত্রা যুক্ত হ’ল এই বিপ্লবী ভারত গ্যালারির মাধ্যমে। এই গ্যালারি পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার পরিচায়ক।
গ্যালারিতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নানা বৈপ্লবিক কাজকর্ম তুলে ধরা হয়েছে। নতুন এই গ্যালারিটির মূল উদ্দেশ্য হ’ল বিপ্লবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে সার্বিকভাবে তুলে ধরা।
বিপ্লবী ভারত গ্যালারিতে বিভিন্ন সংগ্রামের ইতিহাস, তাঁদের কাজকর্ম, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি গঠন এবং নৌ-বিদ্রোহের ভূমিকা সহ অন্য বিষয়গুলিও গুরুত্ব সহকারে প্রদর্শিত হয়েছে।
সূত্র: পি আই বি