স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচি তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং মহিলা শিল্পোদ্যোগীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এক বিশেষ মাইলফলক : কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী

ওয়েব ডেস্ক; ৬ এপ্রিল: “মহিলা এবং তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতিভূক্ত ১ লক্ষ ৮০ হাজারেরও বেশি শিল্পোদ্যোগীকে ৪০ হাজার ৬০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা আমাদের গর্বেরই একটি বিষয়মাত্র নয় একইসঙ্গে স্ট্যান্ড আপ কর্মসূচির সাফল্যে আমরা সন্তুষ্টও বটে।”

গত ৭ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের স্ট্যান্ড আপ কর্মসূচির সাফল্যের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে এমনটাই বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তাঁর মতে এই কর্মসূচিটি ব্যাঙ্কের ঋণ সহায়তার মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব শিল্পোদ্যোগ প্রচেষ্টার অনুকূল একটি বিশেষ পরিস্থিতি ও বাতাবরন গড়ে তুলেছে। এই কর্মসূচি প্রকৃত অর্থেই তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং মহিলা শিল্পোদ্যোগীদের শিল্পোদ্যোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ঘটনা।

স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচির সপ্তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বক্তব্য রাখছিলেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, যাঁরা এতদিন পর্যন্ত শিল্পোদ্যোগ স্থাপন প্রচেষ্টায় সরকারি ঋণ সহায়তা থেকে বঞ্চিত ছিলেন স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচি তাঁদের সকলের জীবনকেই নানাভাবে স্পর্শ করে গেছে। বহুদিন ধরেই যাঁরা শিল্পোদ্যোগ স্থাপনের জন্য উচ্চাশা পোষণ করে আসছিলেন তাঁদের স্বপ্ন আজ সফল ও বাস্তবায়িত হয়েছে। তাঁরা তাঁদের মেধা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে শিল্পোদ্যোগ প্রচেষ্টায় সাফল্য দেখিয়েছেন এবং এইভাবেই সম্ভাবনাকে বাস্তবতায় রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতেও বিশেষ অবদানের স্বাক্ষর রেখেছেন।

স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচির সপ্তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ডঃ ভাগবত কিষাণ রাও কারাড বলেন, “আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জাতীয় কর্মসূচির তৃতীয় স্তম্ভটির ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে স্ট্যান্ড আপ কর্মসূচি। এই স্তম্ভটি হল অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষদের আর্থিক সহায়তাদান। বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের শাখাগুলি থেকে শিল্পোদ্যোগ স্থাপনে আগ্রহী তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং মহিলা আবেদনকারীরা সহজেই ঋণ সহায়তার সুযোগ লাভ করেছেন। শুধু তাই নয়, শিল্পোদ্যোগী এবং তাঁদের কর্মী ও পরিবারগুলির জীবন ধারনের মান উন্নত করে তুলতেও বিশেষ সাহায্য করেছে এই কর্মসূচিটি। গত ৭ বছরে ১ লক্ষ ৮০ হাজারেরও বেশি এই ধরনের শিল্পোদ্যোগীর কাছে ব্যাঙ্কের ঋণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আরও আনন্দের বিষয় যে প্রদত্ত মোট ঋণ সহায়তার ৮০ শতাংশেরই গ্রহীতা হলেন মহিলা শিল্পোদ্যোগী।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচির সূচনা ২০১৬র ৫ই এপ্রিল। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল বঞ্চিত ও অবহেলিত মানুষের শিল্পোদ্যোগ স্থাপনের প্রচেষ্টাকে উৎসাহদান এবং সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক দিক থেকে তাঁদের বিশেষ ক্ষমতায়ন। নির্মাণ ও উৎপাদন, বাণিজ্যিক পরিষেবা এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মপ্রচেষ্টায় ঋণ সহায়তার প্রসার ছিল এই কর্মসূচির আর একটি বিশেষ লক্ষ্য।

২১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত প্রাপ্ত পরিসংখ্যানগত তথ্যে প্রকাশ ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৬৩৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচির সূচনাকাল থেকে ৪০ হাজার ৭১০ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা বাবদ জমা পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.