‘নো ভোট টু মমতা’ লেখা গেঞ্জি পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করার শপথ নিলেন শুভেন্দু!

ওয়েব ডেস্ক; ৪ এপ্রিল: পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার ঝাঁকরা এলাকায় সমস্ত জল্পনা কাটিয়ে সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর শুভেন্দুর সেই সভাতে দেখা গেলো নতুন চমক। একদিকে যখন তিনি নাম না করে পিসি ভাইপো আখ্যা দিয়ে মমতা ও অভিষেকেকে আক্রমন করেন। আবার অপর দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করবেন বলেও হুঁশিয়ারি শোনান তিনি। একইসাথে, এদিনের সভামঞ্চে নতুন চমক দেখা যায় শুভেন্দুর টি শার্ট-এ। যেখানে লাল হরফে বড়ো বড়ো করে লেখা ‘নো ভোট টু মমতা।’

এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সভা বাতিল হয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু এই সভাটা হচ্ছে। আটকাতে পারবেন না কোনওভাবেই। সিপিএম আপনাদের থেকেও কঠিন জিনিস ছিল, আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আমি তাঁদের তুলে ফেলে দিয়েছি। ২০১০ সালে আমি লড়াই করেছি, আমি সবটা জানি। ২০১৯ সালে বিজেপি ১৮টি আসন পাওয়ার পর আজকের সব মাতব্বররা ঘরে ঢুকে গিয়েছিল। আমি তখন এখানে এসে বন্ধ হয়ে যাওয়া তৃণমূলের অফিস খুলেছি।”

এদিনের সভা থেকে আবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর করার ডাক দিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মোদী জি, অমিত শাহ ও নাড্ডাজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর দায়িত্ব আমাকে দিয়েছিল। সেই কাজ করেছি। মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করার কাজ এখনও বাকি। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে সেই কাজও করব।” একই সাথে তিনি জানান, “তৃণমূলকে একদম তুলে ফেলতে হবে, একদম ভয় পাবেন না। উত্তর প্রদেশ, গুজরাটে রামনবমীর এত মিছিল হয়েছে, একটাও কোনও ঘটেনি। তৃণমূলের পাশ থেকে সংখ্যালঘুরা সরে যাচ্ছেন। বগটুই, আনিস খান ও সাগরদিঘির উপনির্বাচনের পর সংখ্যালঘুরা ভুল বুঝতে পেরেছে। এনআরসির নামে তাঁদের ব্যবহার করেছে এটা সংখ্যালঘুরা বুঝতে পেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন। হাওড়া ও রিষড়ার হিংসার ঘটনায় তৃণমূলের গুন্ডারা যুক্ত। হাত থেকে ভোট বেরিয়ে যাচ্ছে তাই এই কাজ করানো হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের সরকারি অনুষ্ঠান থেকে ৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তীর দিন অশান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “হনুমান জয়ন্তীর দিনও অশান্তির কথা বলছেন, এ কেমন মুখ্যমন্ত্রী!” খেজুরিতে এদিন সরকারি সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী সোমবার সেই মাঠে পালটা সভায় দ্বিগুণ ভিড় করার হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “আমি সোমবার একই মাঠে তিনগুণ লোক নিয়ে সভা করব। মমতার সভায় বিডিওরা সরকারি সুবিধার লোভ দেখিয়ে লোক তুলে আনা হয়েছিল। দিঘায় সভায় যা বলবেন, তার উত্তর নদিয়ার হাঁসখালির সভায় দেব।”

তবে, ‘নো ভোট টু মমতা’ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ” নো হট টু মমতা সেটা উনি রাজনৈতিক কথা বলেছেন, মানুষ বুঝবে ভোট দেবেন কি দেবেন না। উনি তো বলেছিলেন ৩৫ এর ৫ দেবোনা, তারপর দেখা গেল ৩৫ এর ৫ উনিই পেলেন না। তাই আমরা মাঠে মোকাবেলা করব। আমি এটাকে নিন্দা করব না, কারণ এটা একটা রাজনৈতিক স্লোগান উনি দিতেই পারেন। “

Leave a Reply

Your email address will not be published.