ওয়েব ডেস্ক; ২৯ মার্চ: জাতীয় আরোগ্য শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি ‘বি২বি’ সম্মেলন ও প্রদর্শনী সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল আসামের গুয়াহাটিতে। সাংহাই সহযোগিতা সংগঠন (এসসিও)-এ ভারতের সভাপতিত্বকালে এই সম্মেলন ও প্রদর্শনীর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ভারতের আয়ুষ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রসার ও উন্নয়নে ভারতের এই উদ্যোগ সংগঠনের ২৫টি দেশকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার কাজে বিশেষভাবে সফল হয়। এর মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক বিকাশ প্রচেষ্টা, পরিবেশ সুরক্ষা ও সংরক্ষণ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়গুলি সংগঠনভুক্ত দেশগুলিতে সফল হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে বিভিন্ন দেশের নেতৃবর্গের সক্রিয় উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। মায়ানমারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ থেট খোয়িং উইন, মালদ্বীপের উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোফিয়া মহম্মদ সঈদ এবং ভারতের আয়ুষ প্রতিমন্ত্রী ডঃ মুঞ্জপারা মহেন্দ্রভাই-এর সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং চিন, রাশিয়া ও পাকিস্তানের ভার্চ্যুয়াল মঞ্চে উপস্থিতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শীর্ষ সম্মেলন ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আয়ুষ তথা বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।
ভারত সাংহাই সহযোগিতা সংগঠন-এর পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা লাভ করে ২০১৭ সালে। এ বছরের জন্য সংগঠনের সভাপতিত্বের দায়িত্বভার ভারতের হাতে ন্যস্ত করা হয় গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে। ঐ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে প্রথাগত অর্থাৎ, চিরাচরিত চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে ভারত সাংহাই সহযোগিতা সংগঠন-এর এক বিশেষজ্ঞ কর্মীগোষ্ঠী গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক ইতিমধ্যেই বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যেমন, প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের এক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন এবং বিশেষজ্ঞ কর্মীগোষ্ঠী গঠনের মতো উদ্যোগগুলি মন্ত্রকের উদ্যোগেই বাস্তবায়িত হয়।
সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের বি২বি সম্মেলনের অবসরে আয়ুর্বেদ ও প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে ভারত মায়ানমারের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মিলিত হয়। এজন্য ভারতের আয়ুষ মন্ত্রক এবং মায়ানমারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মধ্যে ইতিপূর্বে স্বাক্ষরিত মউটির মেয়াদ আগামী ২০২৬-এর ২৮ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক এই আলোচনায় ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং মায়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ঐ দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ থেট খোয়িং উইন।
এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন মোট ২১৪ জন প্রতিনিধি। তাঁদের মধ্যে ৮৩ জন ছিলেন সংগঠনভুক্ত ১৬টি দেশের প্রতিনিধি এবং ১৩১ জন ভারতীয় অংশগ্রহণকারী। সম্মেলন চলাকালীন ৩০টির মতো উপস্থাপনা পেশ করা হয়। এর মধ্যে ১৯টি ছিল সংগঠনভুক্ত অন্যান্য দেশগুলির এবং ১১টি উপস্থাপনার উদ্যোগ নেওয়া হয় ভারতের পক্ষ থেকে। সম্মেলনকালে আয়োজিত হয় মোট ১১টি অধিবেশনের।
অন্যদিকে, প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে শিল্প, শিক্ষা এবং আয়ুষ সংক্রান্ত ৫৬টি প্রতিষ্ঠান।