বিএসএফ চোরাচালানের চেষ্টা ব্যর্থ করে, রূপার অলঙ্কার সহ পাচারকারীকে হাতে নাতে ধরেছে

ওয়েব ডেস্ক; ৩ মার্চ: দক্ষিণ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের অধীন, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের কর্মীরা সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাচালানের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে, দুটি পৃথক ঘটনায় ১১.৫৩৬ কেজি রূপার গয়না উদ্ধার করেছে। একটি ঘটনায় পাচারকারীও হাতেনাতে ধরা পড়েছে। জব্দকৃত রূপার মোট মূল্য আনুমানিক ৫,৮৪,৮৭৮/- টাকা। চোরাকারবারিরা ওই রুপার গহনা ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।

মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রুপা আনা হয়েছিল, বিএসএফের হাতে ধরা পড়ল

২৮ ফেব্রুয়ারী, সীমা চৌকি আরশিকারি, ১১২ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে একটি বিশেষ অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করে। সেই সময় বেলার দিকে একটি সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল চালক বিথারি বাজার থেকে আরশিকারি গ্রামের (সীমান্ত গ্রাম) দিকে যাচ্ছিল। তল্লাশির জন্য সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা তাকে থামায়। তল্লাশিকালে মোটরসাইকেলের ফুয়েল ট্যাঙ্ক ও স্পিডো মিটারের কাছে তৈরি ইম্প্রোভাইজড ক্যাভিটি থেকে ৩.৭৪০ কেজি রূপার অলংকার পাওয়া যায়। ধৃত পাচারকারীর পরিচয় মো. ইয়াসিন মোল্লা, জেলা উত্তর ২৪ পরগনা বলে জানা গেছে।

জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারি জানায়, সে এই রূপার গহনাগুলো কলকাতার ডাকবাংলা বাজারের বাসিন্দা মসুদের কাছ থেকে নিয়েছিল। এরপর সে বিএসএফের ডিউটি ​​পয়েন্ট অতিক্রম করে বাংলাদেশী পাচারকারীর হাতে গয়নাগুলো তুলে দিতে যাচ্ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে পৌঁছতেই বিএসএফ তাকে রুপার অলঙ্কারসহ আটক করে।

আরেকটি ঘটনায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি সীমা চৌকি গোবর্ধা, ১৫৩ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা বিত্তিপাড়া চেক পয়েন্টের কাছে একটি বিশেষ অ্যামবুশ স্থাপন করে। সেই সময় অ্যাম্বুশ পার্টি একটি সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল আরোহীকে চেক পয়েন্টের দিকে আসতে দেখে, অ্যাম্বুশ পার্টি মোটরসাইকেল আরোহীকে থামতে সংকেত দিলে সে হঠাৎ মোটরসাইকেলটি ফেলে ঘন ফসলের সুযোগ নিয়ে গোবর্ধা গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। জওয়ানরা মোটরসাইকেলটি তল্লাশি করলে তার গহ্বর থেকে ৭.৭৯৬ কেজি রূপার অলঙ্কার উদ্ধার হয়।

গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারী ও জব্দকৃত রুপার অলংকার তেঁতুলিয়া কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র জওয়ানদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে ডিউটিতে থাকা তার জওয়ানদের দ্বারা প্রদর্শিত সতর্কতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। অফিসার স্পষ্ট কথায় বলেন, তার জওয়ানদের চোখ থেকে কিছুই লুকানো যাবে না। তিনি আরও বলেন, চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার জন্য তার একটি দুর্দান্ত দল রয়েছে, যারা সীমান্ত এলাকায় ঘটিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের উপর কড়া নজর রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.