কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা কেন্দ্রীয় সহায়তা যুক্ত ‘স্পন্দমান গ্রাম প্রকল্প (ভিভিপি)’কে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ব্যয় বরাদ্দ সহ ২০২২-২৩ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত চালু রাখার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে

ওয়েব ডেস্ক; ১৭ ফেব্রুয়ারি: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘স্পন্দমান গ্রাম প্রকল্প’ (ভিভিপি)২০২২-২৩ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত চালু রাখার প্রস্তাবে অনুমোদন করেছে এবং এতে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে।

এই প্রকল্পে উত্তর প্রান্তের সীমান্ত সন্নিহিত গ্রাম ও ব্লকগুলির পূর্ণাঙ্গ উন্নয়নের মাধ্যমে নির্মিত সীমান্ত গ্রামগুলির বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার গুণমানের উন্নতি ঘটানো হবে। এর ফলে ওইসব সীমান্ত অঞ্চলের অধিবাসীদের নিজেদের ভিটেতে থাকায় উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাম ছেড়ে বাইরে যাওয়ার প্রবণতা কমানো এবং সীমান্ত অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যবস্থা হবে।

এই প্রকল্পে অত্যাবশ্যক পরিকাঠামো বিকাশে তহবিল যোগানো ছাড়াও দেশের উত্তর সীমায় ৪টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৯টি জেলা এবং ৪৬টি সীমান্তবর্তী ব্লকে জীবনযাত্রার সুযোগ সৃষ্টির ব্যবস্থা হবে আর তার ফলে সকলকে সামিল করে বিকাশের লক্ষ্য অর্জন এবং সীমান্ত অঞ্চলের জনসংখ্যা একই হারে বজায় রাখার সুবিধাও বাড়বে। প্রথম পর্যায়ে এই কর্মসূচিতে ৬৬৩টি গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

এই কর্মসূচি স্থানীয় প্রাকৃতিক মানব ও অন্যান্য সম্পদের ভিত্তিতে ‘হাব ও স্পোক মডেল’ অর্থাৎ কেন্দ্র ও চক্র মডেলের আদলে বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সামাজিক উদ্যোগের বিকাশ, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উদ্যোক্তা গড়ে তোলার দ্বারা যুব ও মহিলাদের ক্ষমতায়ণ, স্থানীয় সাংস্কৃতিক ও পরম্পরাগত জ্ঞান এবং ঐতিহ্যের বিকাশের মাধ্যমে পর্যটন সম্ভাবনা সৃষ্টি করা, সুস্থায়ী পরিবেশ অনুকূল কৃষিভিত্তিক ব্যবসার বিকাশ, বিশেষত ‘এক গ্রাম এক উৎপাদন’ কর্মসূচির মাধ্যমে জনগোষ্ঠী ভিত্তিক বিভিন্ন সংস্থার সাহায্য নিয়ে করা হবে।

এই প্রকল্পের কর্ম পরিকল্পনা সম্পূর্ণভাবেই জেলা প্রশাসন রচনা করবে গ্রাম পঞ্চায়েতের সহায়তায়। আর এর যেসব প্রধান ফলাফলের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে সেগুলি হল সারা বছর চালু থাকা উপযোগী রাস্তা, পানীয় জল, সৌর ও বায়ুশক্তির সাহায্য নিয়ে সর্বক্ষণের বিদ্যুৎ সরবরাহ, মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ সুনিশ্চিত করা। এছাড়াও পর্যটন কেন্দ্র, বহুমুখী কেন্দ্র, স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্র প্রভৃতি গড়ে তোলা হবে। তবে এই প্রকল্প কোনোভাবেই সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ঢুকে পড়বে না। ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ব্যয় বরাদ্দের মধ্যে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় ব্যয় করা হবে সড়ক উন্নয়ন ও বিকাশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.