ওয়েব ডেস্ক; ৪ ফেব্রুয়ারি: ২ ফেব্রুয়ারী, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী জওয়ানরা জোরালো সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭,০৩,১৫০/- বাংলাদেশী টাকা সহ এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক মহিলা ওই বাংলাদেশি মুদ্রা অবৈধভাবে আইসিপি গোজাডাঙ্গা হয়ে বাংলাদেশে নিয়ে যাচ্ছিল।
আইসিপি ঘোজাডাঙ্গা, ১৫৩ ব্যাটালিয়ন, সেক্টর কলকাতার জোয়ানরা উল্লিখিত এলাকায বিশেষ অভিযানের সময় এক সন্দেহজনক মহিলার গতিবিধি লক্ষ্য করে৷ মহিলাটি একটি বড় ব্যাগ নিয়ে ইটিন্ডা থেকে আইসিপি ঘোজাডাঙ্গার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সতর্ক জওয়ানরা কোনো সুযোগ না দিয়ে ওই মহিলাকে আটক করে। তল্লাশিকালে ওই মহিলার কাছ থেকে ৭,০৩,১৫০/- বাংলাদেশি টাকা উদ্ধার হয়। ধৃত মহিলার পরিচয় -শিল্পা দেবী (৩০), জেলা হাজারিবাগ, ঝাড়খণ্ড রূপে প্রকাশ হয়েছে ৷
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিল্পা দেবী জানায় যে, সে ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। ২০০৭ সালে তার বাবা-মা তাকে ভারতে রেখে বাংলাদেশে ফিরে যান। এরপর সে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা মনোজ শাহ কে বিয়ে করে। সে তার অসুস্থ বাবার চিকিৎসার জন্য ৬ লাখ ভারতীয় মুদ্রা নিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য ICP গোজাডাঙ্গায় এসেছিল। এখানে পৌঁছানোর পর সে শহীদ গাজী (শবনম এন্টারপ্রাইজ) নামে এক মানি এক্সচেঞ্জারের কাছ থেকে ভারতীয় মুদ্রা অবৈধভাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় বিনিময় করে। কিন্তু সে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করার সাথে সাথেই তল্লাশির সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে ফেলে।
জিজ্ঞাসাবাদের পরে, বিএসএফ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পানিতারের বাসিন্দা, মানি এক্সচেঞ্জার শহীদ গাজীকেও অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় হেফাজতে নেয়।
আটক মহিলা ও মানি এক্সচেঞ্জারকে জব্দ বাংলাদেশি টাকা সহ পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গোজাডাঙ্গা কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৫৩ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার তার জওয়ানদের এই সাফল্যে খুশি প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, চোরাচালান বন্ধে তিনি তার এলাকার থানা ও অন্যান্য সংস্থার কাছে চোরাচালান নির্মূল এবং চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন।