ডিজিটাল; ২০ নভেম্বর: ১৯ নভেম্বর দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সীমা চৌকি নওয়াদা, ৭০ ব্যাটালিয়নের জোয়ানরা ২৭২ টি ফেনসিডিল বোতল এবং ৬৭ টি মোবাইল ফোন সহ একজন চোরাকারবারীকে হাতেনাতে ধরেছে। জব্দকৃত পণ্যের আনুমানিক মূল্য ১০,৬৫,৮৪৪/- টাকা। চোরাকারবারীরা সেগুলো ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
নওয়াদা সীমান্ত চৌকির জওয়ানরা একটি বিশেষ অতর্কিত হামলা চালায়। অ্যামবুশ পার্টি লক্ষ্য করে যে কিছু চোরাকারবারী বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে। জওয়ানরা চোরাকারবারিদের থামতে বললে, জওয়ানদের আওয়াজ শুনে চোরাকারবারীরা ভারতীয় গ্রামের দিকে ছুটতে শুরু করে। জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করে একজন পাচারকারীকে ধরে ফেলে যার কাছ থেকে ২৭২ টি ফেনসিডিল বোতল এবং ৬৭ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। বাকি পাচারকারীরা অন্ধকার ও ঝোপঝাড়ের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ধৃত পাচারকারীর পরিচয় আমির হামজাদ, মালদহ রূপে প্রকাশ হয়েছে।
আটক চোরাকারবারি জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে চুরিয়ন্তপুর গ্রামের এক অজ্ঞাত চোরাকারবারির কাছ থেকে এসব ফেনসিডিল বোতল ও মোবাইল ফোন নিয়েছিল। এরপর সে বাংলাদেশি চোরাকারবারির কাছে সেগুলো হস্তান্তর করতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করতে চাইলেও বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে।
আটক চোরাকারবারী ও জব্দকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কালিয়াচক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
৭০ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান রোধে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি কড়া ভাষায় বলেন, তিনি তার দায়িত্বের এলাকা থেকে চোরাচালান বন্ধে সম্পূর্ন রূপে অঙ্গীকারবদ্ধ।