ডিজিটাল; ১৯ নভেম্বর: ১৭ ই নভেম্বর দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন সীমা চৌকি বিথারি, ১১২ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা চোরাচালানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে ৬.২ কেজি রূপার অলঙ্কার সহ একজন মহিলা পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। জব্দকৃত রূপার আনুমানিক মূল্য ৩,১৫,০৭৭/- টাকা।
কর্তব্যরত জওয়ানরা খবর পান যে হাকিমপুর গ্রামে আশফুল শাহজির বাড়িতে চোরাচালানের জন্য রূপার গয়না লুকিয়ে রাখা হয়েছে। জওয়ানরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তেঁতুলিয়ার কাস্টম বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় ওই গ্রামের প্রধান নেপাল পারমানিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বাড়িটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করলে কালো ও বাদামি রঙের পলিথিনে রুপোর অলংকার পাওয়া যায়। এছাড়া তার বাড়ি থেকে স্যুট ও শাড়িও পাওয়া গেছে। জওয়ানরা সঙ্গে সঙ্গে গহনা বাজেয়াপ্ত করে এবং বাড়ির প্রধান নাজমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে। এর পরে জওয়ানরা আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার মহিলা পাচারকারীকে সীমা চৌকি হাকিমপুর নিয়ে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই মহিলা জানায়, তার স্বামী এসব অলঙ্কার বাংলাদেশে পাচারের জন্য নিয়ে এসেছে। অভিযানের সময় সে তার মেয়েকে নিয়ে বাড়িতেই ছিল এবং এসব অলংকার পাহারা দিচ্ছিল।
আটক চোরাকারবারী ও বাজেয়াপ্ত গহনা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাস্টম অফিস তেঁতুলিয়ায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
১১২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান রোধে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। যার কারণে চোরাচালানের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে এবং তাদের কেউ কেউ ধরা পড়ছে এবং আইন অনুযায়ী শাস্তিও পাচ্ছে।