ডিজিটাল; ২৪ অক্টোবর: শ্রুতিমঞ্জরী একটি আন্তর্জাতিক মানের আবৃত্তি শ্রুতিনাটক, স্বরানুশীলন কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে গত তিন বছরে আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ সহ ভারতের দিল্লী, ব্যাঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, উত্তরাখন্ড, গুজরাতে ছাত্র ছাত্রীরা ছড়িয়ে রয়েছে। যে সমস্ত বরিষ্ঠ নাগরিক শ্রুতিমঞ্জরীর নিয়মিত সাপ্তাহিক আড্ডায় প্রাণের আরাম খুঁজে পান তার সংখ্যাও কম নয়।
বিভিন্ন বয়সের মানুষের প্রাণের আরাম আর মনের আনন্দ দিতে জেগে ওঠে একটি সংস্থা – নাম দেওয়া হয় শ্রুতিমঞ্জরী। কলকাতার এবং কলকাতার বাইরে জেলা, রাজ্য এবং বিদেশে অবস্থান রত বাঙালী দের বাংলা শেখানো এবং আমাদের নিজেদের সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের জন্য বেছে নেওয়া হল কবিতা, আবৃত্তি ও শ্রুতিনাটক। Stammering, autism, cancer patients – এদের সাথে Poetry therapy practice অর্থাৎ cognitive behaviour নিয়ে কাজ করা হয়। কলকাতায় এরকম কয়েকটি সংস্থার পাশে আমরা দাড়াতে চাই এবং প্রবীণদের পাশে যেখানে ভালো লাগা আর ভালো বাসার মূল মন্ত্রটাই হচ্ছে কবিতা এমনটাই আশা তাদের । প্রবাসীদের ছড়া এবং কবিতার মাধ্যমে বাংলা ভাষা পড়তে বলতে ও লিখতে শেখানো হয় । প্রবাসী ছেলেমেয়েরা যখন সহজ পাঠ নিজে নিজে পড়তে পারে সেটা আমাদের ভালো লাগা। কবিতা কে কেন্দ্র করে Neurolinguistic প্র্যাক্টিস এর কাজ ও করা হয়ে থাকে।
গত বাইশে অক্টোবর শনিবার রবীন্দ্র সদনে এক শ্রুতি সন্ধ্যা আয়োজন করা হয় শ্রুতি মঞ্জুরীর তরফ থেকে। অভিনেতা সাহেব চট্টোপাধ্যায়, সুবোধ সরকার সহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উদ্যোক্তা মঞ্জুরি রায় বলেন, আমাদের মূল মন্ত্র কলকাতা এবং প্রবাসী যারা রয়েছেন তাদের সাথে সংযোগ স্থাপন করা। কথা বলার মাধ্যম হিসাবে আমি বেছে নিয়েছি কবিতা । আমি নিজে যে কবিতার সঙ্গে এইভাবে জুড়ে যাব ছোটবেলায় আমি তা বুঝিনি। এতদিন আমি যা শিখেছি যা বুঝেছি তাই ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যস্ততা থেকে সাময়িক স্বস্তি সেই ভাবনা নিয়েই তৈরি হয়েছিল শ্রুতি মঞ্জুরী। তবে আমাদের সম্পূর্ণটাই হয় অনলাইনেই।