ডিজিটাল; ২২ অক্টোবর: ‘প্রতিরক্ষা রপ্তানিতে মূল্য নির্ধারণের কৌশল : ভারত তার সমকক্ষদের তুলনায় কিভাবে আরও প্রতিযোগিতামুখী হয়ে উঠতে পারে’ – এই বিষয়ের ওপর গুজরাটের গান্ধীনগরে ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া ডেফএক্সপো ২০২২-এ কলকাতার ভারত চেম্বার অফ কমার্স একটি সেমিনারের আয়োজন করে। ডেফএক্সপো ২০২২-এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নরেন্দ্র মোদী।
অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা সচিব ডঃ অজয় কুমার জানান যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে প্রতিরক্ষা উৎপাদন বিভাগ ক্ষুদ্র, অণু ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এবং স্টার্ট-আপ সহ দেশীয় শিল্পকে রপ্তানি প্রসারের লক্ষ্যে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রসঙ্গত, দেশীয় শিল্পগুলিকে লাভজনক করে তোলার লক্ষ্যে তাদের হাতে-কলমে সহায়তা প্রদানের জন্য ২০১৯ সালে ভারত চেম্বার ডিফেন্স সেক্টর ফ্যাসিলিটেশন সেন্টার চালু করেন ডঃ অজয় কুমার যা স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে কাজ করে চলেছে।
বিইএমএল লিমিটেডের কার্যনির্বাহী অধিকর্তা শান্তনু রায় বলেন যে প্রতিরক্ষা পণ্যের মূল্য নির্ধারণের কৌশলকে প্রভাবিত করার বিবিধ কারণ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিরক্ষা পণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্যকে প্রভাবিত করতে হলে দেশীয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও শিল্প, অর্থ ও বিদেশ মন্ত্রককে যুক্ত করে একটি সরকারি রপ্তানি পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনা কমিটি গঠনের প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
ভারত চেম্বারের প্রতিরক্ষা সাব-কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল অমিত বোস বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বার্ষিক ১৪ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৪০ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এজন্য দরকার বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ। কৃত্রিম মেধা এবং মেশিন লার্নিং-এর মাধ্যমে দেশীয় শিল্পগুলিকে সহায়তা করা সম্ভব বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
ভারত চেম্বারের প্রতিরক্ষা সাব-কমিটির সদস্য ডঃ রাজীব চক্রবর্তী বলেন, ভারত প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে বৃহৎ আমদানিকারক থেকে রপ্তানিকারক হিসেবে বিশ্বে ২৩তম স্থান দখল করে রয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা পণ্য উৎপাদনে উন্নতমানের দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহার ভারতকে বিশ্বে প্রতিযোগিতামুখী করে তুলতে পারে।
অনুষ্ঠানে ভারত চেম্বার অফ কর্মাসের সভাপতি এন জি খৈতানও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন যে দাম সব সময় ক্রেতাদেরকে প্রথম প্রভাবিত করে এবং পণ্যের গুণগত মান এবং বিশ্বাসযোগ্যতাও নিশ্চিত করা দরকার। এক্ষেত্রে পণ্যের উৎপাদনের ক্ষেত্রে উদ্ভাবন একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বলে তিনি জানান।