আবারও কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল

সংবাদ সফর, কোচবিহার : বর্ষিয়ান এক নেতার হাত থেকে মাইক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেন অপর এক তৃণমূল নেতা, মঞ্চেই হুলস্থুল কান্ড প্রকাশ্যে। মঙ্গলবার শীতলকুচিতে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ বিজয়া সম্মিলনীতে বলেছেন দল বিরোধী কাজ করলে দশ দিনের মধ্যে বহিষ্কারের ঘোষণা করেন নেত্রী। ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা না কাটতেই আবারো তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দলের সাক্ষী হল রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী। জেলার বর্ষীয়ান আব্দুল জলিল আহমেদ এবং নজরুল হকের মধ্যে। হাত থেকে মাইক কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটলো প্রকাশ্য মঞ্চে। এতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। প্রশ্ন উঠছে দলের নির্দেশ কি আদৌ মেনে চলছে নেতা-নেত্রীরা। এই ঘটনার চরম অস্বস্তিতে রয়েছে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শীতলকুচি বিধানসভা এলাকায় দুটি জায়গায় বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সায়নী ঘোষ। এদিন শীতলকুচিতে সুপারমার্কেট কমপ্লেক্স সংলগ্ন সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় জেলা যুব সভাপতি কমলেশ অধিকারীকে পাশে নিয়ে সায়নী ঘোষ বলেন অনেকে দলকে পিছন থেকে ছুরি মারতে চাইছে। এই ঘটনার পরে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কোচবিহার জেলার রাজনীতি পরিস্থিতি তৃণমূলের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোকসভা এবং বিধানসভার ভরাডুবি এই জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের। এভাবে গোষ্ঠী কোন্দল চললে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.